বিশেষ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কায়েমপুর ফতুল্লা থানা এলাকার ওয়াব্দারপুল মডেল গার্মেন্টস তল্লা চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকা সহ পুরো ইউনিয়নের প্রায় বেশ ক’এক বছর ধরে কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসায় করে আসছে ফারুক ওরফে (কর্নেল ফারুক) কেউ কেউ তাকে চোর বা বাবা ফারুক ও বলে জানান এলাকাবাসী।
তার এই মাদক ব্যবসার কারনে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। মাদক সম্রাট ফারুক এলাকাবাসীর নিকট কর্নেল ফারুক বা চোর ফারুক হিসাবে পরিচিত। তার নেতৃত্বে মাদক কারবারির ব্যবসায় রয়েছে সুবিশাল বাহিনী, এদের দিয়ে ফারুক কায়েমপুর তল্লা চেয়ারম্যান বাড়ী ওয়াব্দারপুল ও মডেল গার্মেন্টস সহ ফতুল্লা থানা আওতাধীন এর মধ্যে একটি মাদক বেচা কিনা ও সরবরাহ রুট গড়ে তুলেছেন। তার এই মাদক বেচা কিনা ও সরবরাহ সহযোগিতা করে আসছেন যারা তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, শান্ত ওরফে ( বোংগা শান্ত) জয়, তনা সহ অন্যান্য অনেকেই রয়েছে।
তাদের এই অবৈধ মাদক ব্যবসার ফলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে, এলাকার কিছু সচেতন লোক এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের নানা ভাবে ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
তার এই মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ যারা বিগত দিনে মিডিয়ার কাছে মুখ খুলেছেন তাদের পরতে হয়েছে চূড়ান্ত হয়রানি মুখে এমনকি তাদের রাস্তায় হামলা ও ছিনতাই এর কবলে পরতে হয়েছে। স্থানীয় কায়েমপুর ও তল্লা চেয়ারম্যান বাড়ী মডেল গার্মেন্টস এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদক সম্রাট ফারুকের গণমাধ্যম কার্ড থাকায় সুবিধা নিয়ে ব্যবসাকে আরো বৃদ্ধি করে ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডিল, হিরোইন সহ সকল মাদক ব্যবসায় নিজেকে জড়িত করে বৃত্তশালী বনে যায়।
এবিষয়ে নির্বাচিত তল্লা ৯ নং ওয়ার্ড স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মেহেদী হাসান বাবু বলেন, একটি দেশের গতিশীলতাকে অব্যাহত রাখে তরুণসমাজ। তারাই যদি মাদকের কবলে পড়ে নিজেদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয় তবে দেশের সার্বিক অগ্রগতি চরমভাবে বিনষ্ট হবে। তাই তরুণসমাজকে মাদক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং এর কারবারীদের সর্বার্থে বয়কট করতে হবে। তাদের ঐক্য ও সুস্থজীবনের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ। মাদকমুক্ত হয়ে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আর যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে আমাদের চুড়ান্ত লড়াই করতে হবে প্রশাসন ও সর্ব স্থরের জনগণকে সাথে নিয়ে।
এই বিষয়ে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ফারুক ওরফে (কর্নেল ফারুক) ও তার বাহিনী কে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।