বিশেষ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাকে আদালতে আনা হয়।
প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় জাকির খানকে দেখা যায় হাসিমুখে হাত উপরে তুলে নেতাকর্মীদের হাত নাড়াতে। তাকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতপড়া পড়ানো ছিল। হেলমেটের ভেতরে ছিল চশমা।
পরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা-২ আদালতের বিচারক শাম্মী আক্তারের আদালতে নিজ দলের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকারকে হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য হাজির করা হয়। জাকির খান ছাড়াও এ মামলার আরও দুই আসামি নাজির হোসেন ও মোক্তার হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন।
এ সময় সাক্ষ্য প্রদান করেন এ মামলার বাদি নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের বড় ভাই বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। সাক্ষী গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম বলেন, ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আসামী জাকির খানের বিরুদ্ধে তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর সাক্ষী প্রদান করেছেন। মামলার আরও ২৭/২৮ জন সাক্ষী রয়েছেন।
পর্যায়ক্রমে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। সাব্বির হত্যার বিচার আগেই শুরু হয়েছিল। আজ তৈমূর সাহেব বাদী হয়ে এসেছেন। তিনি সাক্ষী দিয়েছেন এবং আসামি পক্ষ তাকে জেরা করেছেন। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী ৬ মার্চ আবারও সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন বলেন, আজ জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা ছিল। সেই সাথে সাব্বির আলম খন্দকারের বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন।
এটি ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলা। দীর্ঘদিন পর আজ প্রথম মামলার বাদী সাক্ষী দিতে এসেছেন। আমরা জাকির খানের পক্ষে জেরা করেছি। আজ জেরা শেষ হয়নি। আরও একদিনের জন্য আদালত সময় মঞ্জুর করেছেন। সেদিন সেই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে।
সাক্ষ্য প্রদান শেষে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, জাকির খান কী কী অপকর্ম করেছে তা তুলে ধরেছি আমরা। নারায়ণগঞ্জের ৩২টি সংগঠনের মিটিংয়ে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আপনারা কে আছেন যে সন্ত্রাস করে না, তার পরিবারেও কেউ সন্ত্রাস করে না। তখন সাব্বির বলেছিল আমি সন্ত্রাস করি না, আমার পরিবারেও কেউ সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নন।