গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরের পৌর সদরে দরপত্র নিয়ে দ্বন্দের জেরে আবু তাহের (২৬) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ৫ টার দিকে গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার পর পরই শহরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়। আহত আবু তাহের পৌরসদরের চাঁচকৈড় কাচাড়িপাড়া মহল্লার আবু তালেবের ছেলে। তিনি গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল গণি, নোহাস ও মামুন মোল্লা জানান, সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের পাশের পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা আবু তাহের। এসময় হেলাল সরদার (৩৫) ও শিশির সরদার (২৮) ও সসম্রাট (৩২)তাহেরের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে সিএনজি যোগে পালিয়ে যান। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিলো। হামলাকারীরা গুরুদাসপুর পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার বাসিন্দা।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজিব হোসেন বলেন, আহত আবু তাহেরের মাথার তিন জায়গায় আঘাত রয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাত থাকায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছাত্রলীগ নেতা আবু তাহের জানান, সপ্তাহখানেক আগে একটি দরপত্র দাখিল নিয়ে হেলালের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনার পর থেকে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন হেলাল। আওয়ামী লীগে অনু-প্রবেশকারী কিছু নেতার ইন্ধনে তাকে একা পেয়ে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালায় হেলাল, সসম্রাট, শিশির।
হামলার ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আবু তাহেরের পিতা আবু তালেব। হামলাকারীরা পলাতক থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন জানান, ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। হামলাকারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, ঘটনার ৪ জনের নামে নিয়মিত মামলা হয়েছে আরো অজ্ঞাত ৩ জনসহ। আসামী গ্রপ্তারের চেষ্টা চলছে। হামলার পর থেকে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে থাকায় হামলা পরবর্তী কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।