মো: মারুফ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
জুয়া খেলতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেন এক যুবক। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে নিজ ঘর থেকে অর্থ ও স্বর্ণ চুরি করেন তিনি। ঘটনা দেখে ফেলায় নানিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন যুবক।
নারায়ণগঞ্জে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এসব জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংস্থাটির জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার নাসরিন আক্তারের বাসায় ডাকাতি ও তার বৃদ্ধা মাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা থানায় মামলা করেন তিনি। ১৬ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাসরিনের ছেলে মো. রাকিবকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ওই দিনের ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। পুরো ঘটনার সঙ্গে রাকিব একাই জড়িত। পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি নিজ ঘরে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছিলেন। আটকের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাকিব মূলত স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন। তিনি অনলাইনে জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেজন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। সেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে নিজ ঘরে ডাকাতির নাটক সাজান তিনি। ঘটনার দিন তাদের ঘরে কেউ ছিলেন না। ভাইয়ের বাসায় যান তার মা। রাকিব কাজে না গিয়ে বাহিরে অবস্থান নেন। মা ঘর থেকে বের হওয়ার পর হাতে কাপড় পেঁচিয়ে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। পরে মালামাল নিয়ে সটকে পড়ার সময় তার নানি ঘরে প্রবেশ করেন। ঘটনা দেখে ফেলায় হাতে থাকা কাপড় দিয়ে নানিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রাকিব।’
তিনি বলেন, ‘ঘরের ভাঙা তালা ও হত্যায় ব্যবহৃত কাপড়ের অংশ চাষাঢ়া মোড়ে ময়লার ড্রেনে ফেলে দেন রাকিব। লুট করা স্বর্ণ কালিবাজারের স্বর্ণ পট্টিতে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি।’