কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পরকিয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সোমা আক্তার সুমি (১৯) নামের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ এবং ওই গৃহবধূ সোমা আক্তার সুমিকে আটক করে থানা আনা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন বাদি হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নিহত সুমন মিয়া (২২) উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে সুমন মিয়ার (২২) সাথে একই ইউনিয়নের কলাবাড়ি গ্রামের শুকুর আলী মেয়ে সোমা আক্তার সুমির (১৯) ৪মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পরকিয়ার জেরে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে স্বামী সুমন মিয়াকে ঘুমান্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে তঁার ছেলের মোবাইল দিয়ে অন্য ছেলের সাথে প্রেম করে আসছিল সোমা আক্তার সুমি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো। বিষয়টি তঁার ছেলে স্ত্রীর পরিবারকে জানানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার মধ্যরাতে তঁার ছেলের স্ত্রী সোমা আক্তার সুমি পরিকল্পিতভাবে ছেলে সুমন মিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান পিতা মোতালেব হোসেন রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরকিয়ার জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিতহের বাবা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন।