সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, পাঁচ মিনিটও লাগবে না আমাদের মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করে আনতে। ধৈর্য ধরেছি। জনগণ ভীমরুলের চাক নিয়ে আপনাদের সামনে এসে হাজির হবে। আমি সবকিছু বুঝি। বাংলাদেশে খুনের রাজনীতি কায়েম করার চেষ্টা চলছে। ওরা ওদের দলের নেতাদের মেরে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
গতকাল বিএনপির প্রোগ্রামে স্লোগান দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে অনেক নেতা আছেন নৌকা নিয়া পাশ করেন। কে কার ওলির বাপ, কে কার ওলির মা আমরা জানি। এটা কী স্লোগান আমি জানতে চাই। তারা বলেছে, “হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম”।
সিদ্ধিরগঞ্জের মার্চেন্ট ওয়ার্কার্স (এম ডাব্লিউ) উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা পরিষদ সদস্য ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা, নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, নাসিক ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর উদ্দীন মিয়া, নাসিক ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনােয়ারা বেগম প্রমুখ।
শামীম ওসমান বলেন গতকাল রাত থেকে আমি মানসিকভাবে অস্থির। আমি চাপ নিতে পারছি না। ওরা ক্ষমতায় এসে আমার বাড়িতে হামলা করেছে আগুন দিয়েছে। আমার দাদার বাড়ি বাইতুল আমান ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমার ভাইয়ের খামারে গিয়ে গরুর দুধের বান কেটে ফেলেছিল।
শুধুমাত্র আমার ভাই হওয়ার অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে টর্চার করেছে। আমরা কিছু করিনি, মাফ করে দিয়েছি। আপনাদের ভাষা সামলান। এমন কোন কাজ করবেন না যেন নারায়ণগঞ্জ অস্থির হয়।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের শাহীনকে হত্যা করা হয়েছিল, সুন্দর আলীকে ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছিল, আমাদের মোজাফফর ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা কি অপরাধ করেছিলাম কোন খুনী মেরেছিল তাদের আমরা কি মানুষ না। আমরা মরলে কি আমাদের সন্তানরা কাঁদে না।
আমরা মরলে কি আমাদের বাচ্চারা এতিম হয় না। আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন। আমারতো জীবন শেষ। আমি চলে যাবো। তোমরা থাকবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আমরা তোমাদের সুন্দর জীবন দিতে চাই। শেখ হাসিনা তোমাদের ভবিষ্যত। আমাদের রাজনীতি করার কথা না। আমাদের ভাইদের মারা হয়েছে আমরা প্রতিশোধ নেইনি। ওরা আমাদের শৈশবকে মেরেছে। যৌবনকে হত্যা করেছে। আমরা লাশ নিয়ে কবরস্থানে যেতে পারিনি। লাশের মধ্যে গুলি করা হয়েছে। সেই লাশ চানমারীতে দাফন করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ হবে আইটি নির্ভরশীল। পুরে পৃথিবী হাতের মুঠোয় থাকবে। আমাদের এখানে শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউটের কাজ শুরু হচ্ছে। সেটাও এই লিংক রোডের পাশে, টেকনিক্যাল কলেজ এন্ড স্কুল। আমি মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই এলাকাটাকে সাজাতে চাই। যেন আমাদের সন্তানদের ঢাকা যেতে না হয়।