বন্দর প্রতিনিধি:
হাতের মেহেদির রং না শুকাতেই ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হলেন গৃহবধ সুরাইয়া । বিয়ের মাত্র দুই মাসের মাথায় যৌতুক দিতে ব্যর্থ হয়ে নববধূকে চলে আসতে হলো দিনমজুর পিতার বাড়িতে । এই ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন কলাগাছিয়া জিওধরা এলাকার মেয়ে সূরাইয়ার জীবনে । বিয়ের দুই মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া নববধূ সুরাইয়া দীর্ঘ ২ বছরেও স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে পারেনি। এ ব্যাপারে কোন সুবিচার না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ঘ অঞ্চল আদালতে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেন সুরাইয়া । যার নং ৫২২/ ২০২১ । বাদীর এজহার সূত্রে জানা গেছে, ১৭ই জানুয়ারি ২০২১ তারিখ শরীয়ত মোতাবেক আড়াই লক্ষ টাকা দেনমোহরে শরিয়ত মোতাবেক কলাবাগ এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সাথে জিওধরা এলাকার রাজমিস্ত্রি খোকন মিয়ার মেয়ে সুরাইয়ার বিবাহ হয় । বিয়ের সময় দিনমজুর বাবা মেয়ে সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ২ লক্ষ টাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র বাবদ প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা বিয়েতে খরচ করে ।বিয়ের ১০ দিন পর স্বামী সাদ্দাম হোসেন স্ত্রী কে রেখে বিদেশে চলে যায় । এর কিছুদিন পর স্বামী সাদ্দামের বিদেশে সমস্যা হয়েছে এজন্য সুরাইয়ার পরিবারের কাছে আরো দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে । প্রবাসী স্বামী সহ বাড়িতে থাকা শ্বশুর দুই ননদ , ননদের স্বামী মিলে নানাভাবে নববধূ সুরাইয়া কে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে টাকার জন্য। কোন উপায় না পেয়ে নির্যাতনের শিকার নববধূ সুরাইয়া যৌতুকের টাকার জন্য পিত্রালয় চলে যেতে বাধ্য হয় । এই যৌতুকের ঘটনায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার বিচার সালিশে মিলিত হলেও কোন সুফল পাইনি নববধূ সুরাইয়া ও তার দিনমজুর পরিবার । অবশেষে আদালতে মামলা করলেও দীর্ঘ দুই বছরের স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে পারেনি নববধূ সুরাইয়া আক্তার।