ভয়েজ অব নারায়ণগঞ্জ ২৪.কম : নারায়ণগঞ্জ জেলার থানাগুলোতে অনলাইন জি.ডি বা সাধারণ ডায়েরী এখন ভোগান্তির চরমে।পুলিশ সদর দপ্তরে নির্দেশনা মতে অনলাইন ভিত্তিক জিডি এন্ট্রি করা নির্দেশনা থানা গুলোতে নন জিয়ারের ঘটনা সমূহ প্রথমে জিডি এন্ট্রি করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার কারণে জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ, সরেজমিনে দেখা যায়, ফতুল্লা মডেল থানা,নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কম্পিউটার থাকলেও নেই কোন প্রিন্টার মেশিন, ডিউটি অফিসারের রুমে, তাই জিডি প্রার্থীরা থানায় আসলেই কর্তব্যরত অফিসার বলে দেয় আপনার হারানো জিডি বাইরে থেকে দোকানে গিয়ে অনলাইনে করে আমাদের কাছে কপি নিয়ে আসুন আমরা এন্ট্রি করে দিচ্ছি। অথচ এতো সুন্দর আধুনিক সিস্টেম এবং জিডি এন্ট্রি নিয়ে যে প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো পুলিশে তা আজ বেস্তে যাচ্ছে থানাগুলোতে প্রিন্টার মেশিনের সংকটে,এ বিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বক্তব্যে জানা যায়,ফতুল্লা থানার বাইরে কম্পিউটারের দোকানে জিডি লিখে অনলাইন করতে ৫শ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়।তাহলে আগেই ভালো ছিল জিডি করতে থানায় ২শ টাকা দিলেই হতো,আবার কোন দোকানে ১হাজার টাকাও চায়, এরপর আবার একজন অফিসারের নাম থাকে তদন্ত সে আবার মোটরবাইক নিয়ে একজন কনস্টেবল সহকারে তদন্তে আসলে দিতে হয় খরচ, এই ভোগান্তির কারণে এখন জনসাধারণ অনেক ঘটনা থানা মুখি হতে চায় না, আর কেউ কোন উৎকোচ আদায় করলে তা আর বলতে চায় না কেউ মুখ খুলে, তাই পুলিশের পুরনো দূর্নাম রয়ে যায় নেপথ্য। বর্তমানে প্রিন্টার মেশিন দিয়ে জিডি এন্ট্রির ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে মনে করে সংশ্লিষ্ট ভিকটিম,এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ (ক) অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের সাথে আলাপকালে ভয়েজ অব নারায়ণগঞ্জকে জানায় এ ব্যাপারে আমরা শীঘ্রই পদক্ষেপ নিব আর ফতুল্লা থানার সামনে দোকানের ব্যাপারে আমরা জনসাধারনকে সচেতন করব। উক্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নারায়ণগঞ্জ আদালত সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আনিছুর রহমান দিপু জানান পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য বর্তমানে সরকার অনেক উন্নত রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীর মতো বাংলাদেশের পুলিশ, সমপর্যায়ে করার যে চেষ্টা তা অব্যাহত আছে আমাদের পুলিশ বাহিনী আগের চেয়ে বর্তমানে আরো বেশি পেশাদার।