বাড়ীরটেক হাট নিয়ে সংঘাত ও হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের কাছে নালিশ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের বাড়ীরটেক এলাকায় প্রতিবছর ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে অস্থায়ী পশুরু হাট বসে। এখনো ঈদ আসতে বাকী আরও এক মাস। তবে এরই মধ্যে হাট দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বড় একটি বাহিনী। এমনকি হাটের ইজারায় যাতে কেউ অংশ নিতে না পারে সে-জন্য করা হচ্ছে হয়রানি।
মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র্যাব ১১’র অধিনায়কের কাছে এ নিয়ে লিখিত নালিশ করেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান এ থেকে পরিত্রান পেতে। নয় তো হাট নিয়ে ঘটতে পারে সংর্ঘষ।
তিনটি বিভাগে দেয়া লিখিত নালিশে স্বাক্ষর করেন শাহজাহান নামের এক খামারী। এতে বলা হয়, গত কয়েক বছর ধরে তিনি এ হাটের ইজারায় ছিলেন। তবে এবার যাতে ইজারা নিতে না পারে সেজন্য মামলা দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি তার খামার ভাংচুরের চেষ্টা করছে স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনী। সে প্রশাসনের লোকজন দিয়ে তাকেসহ স্থানীয়দের তুলে নিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় নালিশে।
প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে দাখিল করা ওই আবেদনে খামারী শাহজাহান বলেন, এলাকার লোকজনকে হাটের ইজারা থেকে বিরত রাখতে খামারের গরু-ছাগল-হাস-মুরগী বিষাক্ত দ্রব্য দিয়ে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে দেলোয়ারসহ তার লোকজন। আমি ছাড়াও স্থানীয় অনেক কে ইতিমধ্যে হয়রানি করিয়েছে। দেলোয়ার ও তার ভাই মনির হোসেন, মিশু, নয়ন, কাদের সজলসহ আরো অনন্ত অর্ধশতাধিব যুবক নিয়ে প্রায় মহড়া চালিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা চেষ্টা করে। তাদের থামানো না গেলে সাথে সংঘাতের আশংষ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাউলাউ মারমা বলেন, হাটের ইজারার বিষয়টি দেখবে ইউএনও অফিস। তবে হাটকে কেন্দ্র করে হয়রানী কিংবা সংঘাতের চেষ্টা করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আর জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিস জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়ার কথা।
মতামত দিন