খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও জাকির খানের মুক্তি কামনায় দোয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায় কাটা কাপড় সহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান বলেন, শেখ হাসিনার গোষ্ঠী হচ্ছে পলানো গোষ্ঠী। তারা কখনো জনগণের চিন্তা করেনি। তারা সব সময় নিজেদের আখের গুছানোর চিন্তা করেছে। তবে এবার ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীরা দেশ স্বাধীন করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জাকির খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। যখন সাব্বির হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তখন জাকির খান বিদেশে ছিল। মূলত সাব্বির ছিল ইনফরমা (সোর্স), সে তৎকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর কাছে অনেক নেতাকর্মীর ১৩৫ জনের তালিকা দিয়েছিল। সেকারণে তখন অনেকের সাথে তার বিরোধ তৈরি হয়েছিল। সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ভাগিনা জুয়েল ও বন্দুক শাহিন সহ অনেকের সাথে বিরোধ ছিল। কিন্তু জাকির খানের সাথে তার কোন বিরোধ ছিলনা। অথচ তাকেই মামলার আসামি করেছে।
সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি দিদার খন্দকার বলেন, জাকির খান নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে সফল ছাত্র নেতা, যার নেতৃত্বে জেলার সবকটি আসনে জয় পেয়েছিলাম। সেই নেতা আজকে কারাবন্দি। আমরা তার মুক্তি কামনা করছি। যে নেতা নারায়ণগঞ্জে একজন বীরপুরুষ। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার আমলে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের পরিবার তাকে ভয় পেতো। অথচ তাকে আজ রাজনীতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এটা আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না। জাকির ভাইয়ের নির্দেশে আমরা এখনো শান্ত আছি। জাকির খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কারাগারে পাঠিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ইন্দনে ওই তৈমুর আলম খন্দকার তাকে ফাঁসিয়েছেন। আমরা অনতিবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাকির খান শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, সারা বাংলাদেশে একটি ব্রান্ড। তিনি বিএনপি দলের জন্য বিরাট এক শক্তি। সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দলের হাত আরও শক্তিশালী করতে চাই। আর জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে কেউ কোন রকম চাঁদাবাজি করবেন না। যদি কেউ তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে যায় তাকে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিমুল্লাহ সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমেদ, ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ, দেওভোগ মাদ্রাসা কাটা কাপড় মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রহমত উল্লাহ মানিক, কাশিপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার খোকন সরদার, কাউসার আহমেদ, জাকির, আরিফ মন্ডল সহ প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা সহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খারেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের মুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
মতামত দিন