সদর থানার কয়েকশো গজ দূরে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মাত্র এ কয়েকশ' গজ দূরে অবস্থিত দু'টি আবাসিক হোটেলে চলছে দেহ ব্যবসা। শহরের ১নং রেলগেইট ও লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় অবস্থিত এ দু'টি হোটেলের নাম সুরমা ও অতিথি। নামে আবাসিক হলেও এ দু'টি হোটেল মূলত দেহ ব্যবসার জন্য পরিচিত। এখানে কোন অতিথি রাত্রি যাপনের জন্য আসেন না। ক্ষনিকের অতিথিরা হোটেল কক্ষে থাকা দেহ পসারীনিদের সাথে সময় কাটিয়ে চলে যান।
অনুসন্ধান বলছে, নারায়ণগঞ্জের কলঙ্ক টানবাজার পতিতাপল্লী উচ্ছেদের পর থেকেই শহরে এমন আবাসিক।
হোটেলের নাম করে অনেক পতিতালয় গড়ে উঠেছে। সুরমা ও অতিথি আবাসিক হোটেল এরমধ্যে অন্যতম। সুরমা হোটেলটি দাদা হোটেল নামেই সুপরিচিত। বেশ কয়েক বছর আগে প্রশাসনের পুলিশি অভিযানে দাদা হোটেলের অভ্যন্তর থেকে খদ্দেরসহ পতিতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরবর্তিতে নাম পাল্টে সুরমা আবাসিক হোটেল দেয়া হয়। নাম পাল্টালেও চরিত্র পাল্টায়নি মালিক পক্ষের। পূর্বের মতো পতিতা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে সুরমা হোটেলের মালিক।
তথ্য আর বলছে, গত বছর অতিথি আবাসিক হোটেলের মালিক সহ বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। কিছুদিন পরে জামিনে বের হয়ে আবারো জমজমাট হয়ে উঠেছে এই হোটেল অতিথি। এসব হোটেলে বেশিরভাগই পরিবহন শ্রমিকদের যাতায়াত। এই দুইটি পতিতালয়ই নারায়ণগঞ্জ সদর থানার কয়েকশো গজ দূরে অবস্থিত।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন বলেন, আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার ব্যাপারে অবগত নই। তবে যথাযথ প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব।
সচেতন শহরবাসী এসব আবাসিক হোটেলে মিনি পতিতাপল্লী বন্ধের জন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মতামত দিন