রাজনীতি

এমপি শামীম ওসমানের শ্যালকের বিরুদ্ধে নসিব পরিবহনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমনের নির্দেশে তার শ্যালক এহসানুল হাসান নিপুর বিরুদ্ধে বন্ধু পরিবহন তথা নসিব পরিবহনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৪ সাল থেকে চিটাগাং-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বন্ধু তথা নসিব পরিবহনের কোম্পানি দখল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। 

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে দাতা সড়ক এলাকায় ভুক্তভোগি ও কোম্পানির পরিচালক আলহাজ্ব আল আমিন মির্জা সংসাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান (৬২), সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু (৪৮), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা হকার্স লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভূইয়া (৪৬), ইব্রাহীম চেঙ্গিস (৬০), যুবলীগ নেতা মোঃ মহসীন ভূইয়া (৫০), মোঃ দিদারুল আলম (৫২), (শামীম ওসমানের পরিবহন খাতের ক্যাশিয়ার), মোঃ রুবেল (৩২),(সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়ার পরিবহন খাতের চাঁদাবাজির ক্যাশিয়ার), মোঃ সুলতান (৪৮), (আওয়ামীলীগ নেতা), আইয়ুব আলী মেম্বার (৫৫), মিলন (৪২),নাসির (৩২) (আজমীর ওসমানের ক্যাডার) সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন।

লিখিত অভিযোগে আলহাজ্ব আল আমিন মির্জা বলেন, আমি নসিব পরিবহন প্রাইভেট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছি। শহরের সুরমা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল অবস্থিত। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর বেলা আনুমানিক ১২ টায় একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশে তার শ্যালক এহসানুল হাসান নিপুর নেতৃত্বে বিবাদীরা সহ আরও অজ্ঞাত ২৫-৩০ জন আসামি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেআইনীভাবে নসিব পরিবহনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে আমি সহ অন্যান্য পরিচালকদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অফিস হতে বের করে দেয়। ওই সময় তারা নসিব পরিবহন কোম্পানী পরিচালনা করতে থাকে। পরে ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট আমরা মালিকরা মিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। এরপর জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ্যে মধ্য দিয়ে প্রশাসনের নজরে আসে। ওই সময় র‌্যাব-১১ এর কর্মকর্তারা আমাদের কোম্পানীকে পুনরুদ্ধার করার জন্য অভিযান পরিচলনা করে আসামি সাইফুল ইসলাম ভূইয়া ও তার সহযোগী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেন। এতে বেশ কয়েকমাস শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পেরেছি। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে একেএম শামীম ওসমান সংসদ সদস্য হলে ওই মাসের ২০ জানুয়ারী নসিব পরিবহন লি. কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমি সহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দের নামে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে ও পলাতক থাকতে বাধ্য করেছে। এই সুযোগে আমাদের নসিব পরিবহনের নাম পরিবর্তন করে বন্ধু পরিবহন নামে পরিচালনা শুরু করে। ওই সময় থেকে অদ্য পর্যন্ত আমাদেরকে ৫ কোটি টাকার আর্থিকভাবে ক্ষতি হয়েছে। এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে উক্ত আসামিরা বিএনপি নামধারী কিছু সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় পরিবহন কোম্পানিটি পরিচালনা করে আসতেছে। এই অবস্থায় আমরা পরিত্রান চাই। 

মতামত দিন

বিজ্ঞপ্তি
সবার আগে সব খবর পেতে ভিজিট করুন - voiceofnarayanganj.com I যে কোন সংবাদ বা বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন - 01963958226 / 01819136738 অথবা মেইল করুন - voiceofnarayanganj24@gmail.com