শিক্ষার্থী সীমান্ত হত্যার মূল আসামি গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত (২০) হত্যার ঘটনায় ছিনতাইকারী অনিক (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অনিক একজন পেশাদার ছিনতাইকারী ও তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
গ্রেফতার অনিক (২৮) নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে।। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও সীমান্তের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
গ্রেফতার অনিক (২৮) নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে।। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও সীমান্তের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াজেদ সীমান্তর পথ অবরোধ করে ঘিরে ধরে ছিনতাইকারীরা। এ সময় ছিনতাইকারীদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করলে সীমান্ত আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে ওই ছিনতাইকারীকে আমরা ছুরি সহ আটক করেছি। তার কাছ থেকে নিহত সীমান্তের মোবাইল ফোন আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত আছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন জন জড়িত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত হত্যা মামলার আসামি অনিক একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে ৮টি মামলা রয়েছে। এই মামলা নিয়ে তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা হয়েছে। সুতরাং সে একজন ছিনতাইকারী তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের মিন্নত আলী মাজারের সামনে একদল ছিনতাইকারী ওয়াজেদ সীমান্তকে (২০) ছুরিকাঘাত করে।পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুই দিন পর শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সীমান্ত শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার বাসিন্দা হাজী আলমের ছেলে। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালযের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মতামত দিন