সোনারগাঁয়ে যুবদলে নেতার নেতৃত্বে হামলা ও কোটি টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনারগাঁয়ের এএনজেড টেক্সটাইল মিলস ফ্যাক্টরিতে চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভুগী মোঃ আনোয়ার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে বলেন, সোনারগাঁ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক পদ ব্যবহারকারী আশরাফ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এএনজেট টেক্সটাইল মিলসে হামলা ও ১কোটি টাকার সম্পদ লুটপাট করা হয়। চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ড্রিংক এন্ড ডাইন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা জানান সাংবাদিকদের।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে সোনারগাঁয়ের জামপুর কদমতলী ঈদগাহ সংলগ্ন ফ্যাক্টরিতে হামলা ও লুটপাট করে সোনারগাঁ থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায় আশরাফ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দুইশ' থেকে আড়াইশ' স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী।
মোঃ আনোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এঘটনার পর সোনারগাঁ বিএনপির নেতা মান্নান সাহেবকে জানাই তিনি আমাকে বলেন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে এর প্রেক্ষিতে আমি সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি বুধবার।
এর আগে হামলা চলাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা আমাকে জানালে আমি স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে ঘটনা অবহিত করি। হামলা ও লুটপাট করে চলে যাওয়ার পরে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়।
মোঃ আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, মোঃ আশরাফ ভুইয়া স্বশরীরে উপস্থিত থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন। এসময় তার সাথে আরও ছিল মোতালেব মেম্বার, মুছা মিয়া, দিপু মিয়া প্রমুখ। তারা বিভিন্ন প্রকার অনেকগুলো ককটেল ফাটায়। তাদের অনেকের কাছে পিস্তল ছিল। অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। শ্রমিকদের মারধর করে, ভাঙচুর করেন। গুলি ছোড়ে সেই সাথে বিভিন্ন অস্ত্রের প্রদর্শন করে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। কেউ যদি মোবাইল বের করার চেষ্টা করে তাদের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা ও মারমুখি হয়ে উঠে হামলাকারীরা।
অভিযোগে মোঃ আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, গত ১৫, ২০ দিন আগে মোঃ আশরাফ ভুইয়া সোনারগাঁ থানা যুবলীগের পরিচয় দিয়ে আমার নিকট থেকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রথমে আমি অতটা গুরুত্ব দেইনি পরে প্রায়ই সময় বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দিয়ে ২৫ লাখ কখনো ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করতে থাকে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়ও লুটপাট করে।
হামলায় আশরাফ ভুইয়ার সাথে আরও ছিল, মোতালেব মেম্বার, মুছা মিয়া, দিপু মিয়া, নাঈম, আরিফ, মোক্তার, আজিজ, ইসলাম, আঃ আজিজ মিয়া, মোঃ দৌলত, খোকা মিয়া, ওয়াসিম, নুরউদ্দিন, সফিকুল, ইব্রাহিম, মহসিন, ঈসমাইল, মোঃ রহিমসহ অজ্ঞাত একশ` থেকে দেড়শ` জন স্বশস্ত্র অবস্থায় এএনজেড টেক্সটাইল মিলস এর কন্সট্রাকশন সাইটে গিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে এবং চাঁদাদাবি করে। হামলাকারী উল্লিখিতরা আমার প্রতিষ্ঠানের ৩০ টন রড, ৭০০ বস্তা সিমেন্ট, ৩০ টন আইভীম গাড়িতে করিয়া লুট করিয়া নিয়া যায়। যাহার আনুমানিক বাজার মুল্য ১ কোটি টাকা। হামলাকারীরা হামলা ও লুটপাট করিয়া ক্ষান্ত হয়নি তারা এখন আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। আনোয়ার হোসেন নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে।
এবিষয়ে মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রশাসন ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করে ন্যায় বিচার পেতে তাকে সহযোগীতা করতে সকলের সাহায্য কামনা করেন।
জানা যায়, ঘটনাস্থলে আরো উপস্থিত ছিলেন রফিক মিয়া, ইকবাল প্রদান , মো:সামসুল আলম,মুছা,আব্বাস আলী,আরিফ মোল্লা, মিন্নাত আলী,মুক্তার হোসেন,রাহিম মিহাল, আজিজ, নাঈম মিয়া,দৌলত মিয়া, মাসুম মিয়া, সজীব মোল্লা,সাগর, আল-আমিন মোল্লা,মো:মাসুদ রানা,পন্ডিত মিয়া,মোফাজ্জল, মাসুম মিয়া, মোঃ হোসেন, জাহাঙ্গীর,শাহ আলম,মামুন,এমদাদুল হক (দিপু), মুসা, মোতালি মেম্বার,আলমগীর,ওয়াসিম,মোঃ কাউসার হামিদ,মোঃ শজিব,মো:নাহিদ ভূঁইয়া প্রমুখ
মতামত দিন