গাজীর অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করছে দিপু ভূইয়া : সেলিম প্রধান
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রাণালয়ের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পার্টনার হয়ে তার সকল দখলবাজি সহ অপরাধের জগত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের লুটেরা ও হত্যা মামলার আসামি গাজীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় ও সেলিম প্রধানের আড়ত দখল নিতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দিপু বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে তিনি জানান।বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর নির্দেশে সেলিম প্রধানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সিনেমন রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দিপু ভূইয়া সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে পাপ্পা গাজীর নির্দেশে দিপু ভূইয়া এই হামলা চালায়। গাজীর সব সেক্টর সে এখন নিয়ন্ত্রণ করছে। দিপু ভূইয়ার নির্দেশে তার নেতাকর্মীদের দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। তবে এরূপ হামলার পরেও ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। এই বাজার থেকে প্রতিমাসে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করছে দিপু ভূইয়ার লোকজন। পাপ্পা গাজী এক সময় মিডিয়া মাফিয়া ছিল। পাপ্পা গাজী অন্তরালে থেকে দিপু ভূইয়ার পক্ষে মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে কাল্পনিক গল্প বানাচ্ছে।
৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে কিছুদিন পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী গোলাম ফারুক খোকন আমার সাথে দেখা করে। সেখানে খোকনের সাথে সেই গাজীর লোক মজিবুর, বালু হাবিবরের ভাতিজা আইয়ুব এক সাথে বসা ছিল। এটা দেখে আমি অবাক হই। তাদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে খোকন আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা এক কালীন সহ মাসে মাসে আরও টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। আমার জায়গা থেকে দখল সরাতে তারা এই টাকা দাবি করেন।
ভুয়া চুক্তিনামা বানিয়ে তার আড়ত থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ইমিগ্রেশন ক্রস করার পরে বিমানের ভেতর থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হল। অথচ ইমিগ্রেশন ক্রস করার পর কাউকে গ্রেফতার করার নিয়ম নেই। ওই সময় আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও ছিলনা। তখন মিথ্যা মামলা দিয়ে তখন আমাকে দুই বাহিনীর প্রধান ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে ফাঁসিয়েছিল। সেই ঘটনায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমি জেলে ছিলাম। অথচ বিসমিল্লাহ আড়তের চুক্তিনামায় ২০২১ সালে কিভাবে আমি সই করলাম। এতে স্পষ্ট যে, আমার ভুয়া সই যুক্ত করে তারা ভুয়া চুক্তিনামা বানিয়ে আড়তের টাকা আত্মসাৎ করছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় সাবেক মন্ত্রী গাজীর বাহিনীর লোকজন গত বছর আমার বাড়িতে হামলা করেছিল। ঠিক একই কায়দায় এবার বিএনপি নেতা দিপু ভূইয়ার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ৫ আগস্টের পরে দিপু ভূইয়া ও খোকন সাবেক মন্ত্রী গাজীর পার্টনার হয়ে গেছে। গাজীর অলিখিত মাফিয়া সাম্রাজ্য এ দিপু ভূইয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর নির্দেশে তার লোকজন রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকায় সেলিম প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে গুলিবিদ্ধ সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। সেলিম প্রধানের বাড়িতে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় ও লুটপাট করা হয়।
মতামত দিন