আদালত চত্বরে বাদীর পরিবারের ওপর হামলায় সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা
নারায়ণগঞ্জে আদালতে হাজিরা দিতে এসে একটি মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপি নেতা সহ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৯জন নামীয় আসামি সহ ৪-৫জনকে করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান (৫০), ইসমাইল (৪৬), হিরণ (৩৮), শাহালম (৪৮), টিটু (৫০), রাসেল ব্যাপারি (৩৫), অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম (৪০), অ্যাডভোকেট আলামিন সাহা (৩৯) ও অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন (৩৮)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী রাজিয়া সুলতানা উল্লেখ করেন, গত ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে তার জুনিয়ররা ও মুহুরি মিলে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে এবং আমার শরীর ও লজ্জাস্থানে আঘাত করে শ্লীলতাহানি করে। আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে। আমার শিশুসন্তানকে মারধর করেছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ৯ জন নামীয় আসামি সহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, গত রোববার (২৬ অক্টোবর) আদালতে মামলার শুনানিতে যাওয়ার সময় ফতুল্লার আদালতপাড়ায় রাজিয়া সুলতানা, তাঁর স্বামী মো. ইরফান মিয়া এবং তাঁদের দুই সন্তান জিদান (১৮) ও আব্দুল্লাহ (৫) হামলার শিকার হন।
রাজিয়া সুলতানার অভিযোগ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নির্দেশে তার লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “এই ঘটনায় রাজনৈতিক কারণেই আমাকে জড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার কোনো ভিডিও ফুটেজে আমাকে দেখা যাবে না। ঘটনার সময় আমি আদালতে ছিলাম না।’
এদিকে এই মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে ইরফান ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করা কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে সাখাওয়াত হোসেনের ঘনিষ্ঠ অনুসারী খোরশেদ আলম, আল-আমিন এবং মুহুরি হিরণ বাদশাকেও দেখা যায়।
মতামত দিন