সোনারগাঁয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাদাবি ও মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে হামলার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহবায়ক কমিটি যুগ্ম সদস্য সচিব অনিক খান সিয়াম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চাঁদা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার রাতে মসজিদের মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে প্রেমের বাজার এলাকায় ৫ গ্রামের বাসিন্দার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ উপজেলার পৌর এলাকায় চুনা ফ্যক্টরির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের সময় পৌর এলাকার ফতেহকান্দী ও সনমান্দী ইউনিউনের প্রেমের বাজার, হামছাদী, বড়ইকান্দী, মসড়াকান্দী, সনমান্দী গোপেরবাগ গ্রামসহ প্রায় ৭ গ্রামের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে৷ এর আগেও ৫ আগষ্টের পর তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সমন্বয়ক দাবি করে অনিক খান সিয়াম, ইলিয়াস মিয়া ও মোশাররফ হোসেন ২ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে সনমান্দী ইউনিউনের ৫ গ্রামে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু পুনরায় আবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে রাতের আঁধারে সমন্বয়ক দাবিদার অনিক খান সিয়াম ও ইলিয়াস হোসেন, কাউসার, জসিমসহ ১০-১৫ জন পৌর এলাকার ফতেহকান্দী গ্রামে গ্যাস সংযোগ দেয়। পরে এ খবর জানতে পেয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম প্রধান তাদের এলাকার গ্যাস সংযোগ দিতে গেলে তারা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। এ সময় তারা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তারা ধাওয়া করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ উপজেলার পৌর এলাকায় চুনা ফ্যক্টরির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের সময় পৌর এলাকার ফতেহকান্দী ও সনমান্দী ইউনিউনের প্রেমের বাজার, হামছাদী, বড়ইকান্দী, মসড়াকান্দী, সনমান্দী গোপেরবাগ গ্রামসহ প্রায় ৭ গ্রামের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে৷ এর আগেও ৫ আগষ্টের পর তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সমন্বয়ক দাবি করে অনিক খান সিয়াম, ইলিয়াস মিয়া ও মোশাররফ হোসেন ২ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে সনমান্দী ইউনিউনের ৫ গ্রামে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু পুনরায় আবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে রাতের আঁধারে সমন্বয়ক দাবিদার অনিক খান সিয়াম ও ইলিয়াস হোসেন, কাউসার, জসিমসহ ১০-১৫ জন পৌর এলাকার ফতেহকান্দী গ্রামে গ্যাস সংযোগ দেয়। পরে এ খবর জানতে পেয়ে সনমান্দী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম প্রধান তাদের এলাকার গ্যাস সংযোগ দিতে গেলে তারা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। এ সময় তারা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তারা ধাওয়া করে।
এ ঘটনায় অনিক খান সিয়াম সনমান্দী ইউনিয়নের প্রেমের বাজার এলাকায় গেলে তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে এলাকাবাসী। এতে সে উত্তেজিত হয়ে তার সহযোগীদের ফোন দেয়৷ এই খবর শুনে তার সহযোগীরা স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়, ‘প্রেমের বাজার এলাকা থেকে ডাকাত এসেছে’। মাইকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে তারা পুরো এলাকাবাসীর উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় কয়েকজন সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক সোনারগাঁ থানার ওসি পুলিশ ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপির ৬নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহসভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, আ'লীগের সময় থেকে গ্যাস ব্যবহার করে আসছি। এখন পৌর এলাকার ফতেহকান্দীর সমন্বয়ক অনিক খান সিয়াম ও তার সহযোগীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে গ্যাস সংযোগ দিতে গেলে মসজিদের মাইকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়৷ সিসি ফুটেজেই তাদের হামলার ভিডিও দেখতে পারবেন৷ থানায় অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব অনিক খান সিয়াম জানান, সে এ ধরনের কাজে জড়িত নয়৷ চাঁদাদাবী ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যে। ঘটনার দিন রাতে সে প্রেমের বাজারে রাত ১০ টার দিকে ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসীতে যায়।সেখানে সায়েম প্রধান তার পথরোধ করে গ্যাস সংযোগ নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন সে এলাকায় ফোন দিলে তাকে রক্ষার্থে তাদের গ্রামের লোকজন আসে।
সনমান্দী ইউনিউনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক টিক্কা জানান, সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেছি। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন তাদের কাছে নাকি ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান, গত রোববার রাতে সংঘর্ষের খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ তবে দু'পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করার চেষ্টা চলছে।
মতামত দিন