ক্ষমতা ব্যবহার করে ধন-সম্পদ আহরণের ব্যবস্থা বদল করতে হবে : সাকি
অভ্যুত্থানের পরে ক্ষমতা ব্যবহার করে দখল আর সম্পদ আহরণ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরে দেখছি, কিছু লোক ক্ষমতা ব্যবহার করে নানান দখল আর ধন-সম্পদ আহরণ চলছে। কেউ চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে করে, কেউ গোপনে ধন-সম্পদ আহরণ করেন। ক্ষমতা ব্যবহার করে ধন-সম্পদ আহরণ করে সেই দেশের কোনো উন্নতি হয় না। জুলাই স্পষ্ট করে বলছে—এই দেশ জনগণের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দেশ। ক্ষমতা ব্যবহার করে ধন-সম্পদ আহরণের যে ব্যবস্থা, তা বদল করতে হবে। সেটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।’
তিনি বলেছেন, ‘জুলাই আমাদের কয়েকটি বিষয়ে রায় দিয়ে গেছে। জুলাই শহীদ সারাদেশের মানুষদের এক সুতায় গেঁথেছিল। রংপুরে আবু সাঈদ বুকে গুলি নিয়ে সারাদেশে যে দাবানল সৃষ্টি করেছিল, সে দাবানলের রায় যদি গ্রহণ করতে চাই, বুকে ধারণ করি—আগামীর বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই পরিষ্কার করে বলছে—ঘৃণার রাজনীতি আর বাংলাদেশে চলবে না। ঘৃণার, নির্মূলের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করেছে। ঘৃণা, নির্মূল, গণহত্যার রাজনীতি আমরা ২০২৪ সালে দেখেছি। এর বদলে আমরা বৈষম্যহীন আর অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ চাই। এটাই জুলাইয়ের রায়। এসব বিষয় নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে এই দেশে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র পুনর্দখল করে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করব। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে। আগামী সংসদ হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সংসদ। জনগণের সম্মতি ছাড়া সংবিধানের টেকসই সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার বিষয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি—তাই সংবিধানকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার টেকসই হাতিয়ারে পরিণত করতে হবে।”
এ সময় গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী বিপ্লব খাঁন, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকার, জেলা কমিটির যুগ্ম-সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, প্রচার সম্পাদক শুভ দেব, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফারহানা মুনা সহ প্রমুখ।
মতামত দিন