বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন, ৩৯টি স্টল বেড়েছে
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এবারের আসরে ৩৯টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচলস্থ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মাল্টিপারপাস হলে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা খুব সুন্দরভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভালই ছিল। তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমি ব্যবসায়ীদের মনোযোগী হতে বলবো। আমরা যদি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমাতে না পারি, ব্যবসায়িক ব্যয় কমাতে হবে। এতে প্রতিযোগিতার বাজার কমলে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। আন এমপ্লয়মেন্ট চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যেতে পারে। এজন্য আমি সবাইকে সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানাই। সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্যের বৈচিত্রকরণ ও ব্যবসার খরচ কমানোর আহ্বান জানাবো।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুর রহিম খান এবং এফবিসিসিআই- এর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া-এর ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত বছরের মেলায় ৩০৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে ৫টি দেশের ৯টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল।
মেলায় বস্ত্র, ফার্নিচার, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, মেশিনারিজ, কসমেটিক্স, গৃহসজ্জা, খেলনা, স্টেশনারিজ, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পসহ নানাবিধ পণ্য প্রদর্শিত হয়েছে।
মেলার অংশগ্রহণকারী ২২টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১ম পুরস্কার প্রদান করা হয়।১৬টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২য় পুরস্কার ও ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩য় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, এবারের মেলায় ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে টিকিট কেটে সহজেই মেলায় প্রবেশ করা গেছে । আবার কেউ কাটতে না পারলে মেলা প্রাঙ্গণে এলে টিকিট বুথ থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার জন্য সময়ক্ষেপণ কিংবা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না ক্রেতা-দর্শনার্থীদের।
মাসব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকছে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
মতামত দিন