আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রবাসীর টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইলে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের টাকা ও সম্পত্তি অত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা বার এসোসিয়েশনের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন জার্মান প্রবাসী সেলিম।
লিখিত অভিযোগে প্রবাসী মো. সেলিম বলেন, আমি ১৯৯০ সালে জার্মানিতে এবং আমার ভাই মো. শামীম ১৯৯৬ সালে লন্ডনে যাই। দীর্ঘদিন বিদেশে কষ্টার্জিত টাকা উপার্জন করে দেশের বাড়িতে আমাদের পিতা মানিক মিয়ার নিকট প্রেরন করি। এদিকে অভিযুক্ত আইনজীবী মো. ওসমান খন্দকারের সাথে আমার পিতা সহ পরিবারের সকলের সুম্পর্ক ছিল। উক্ত আইনজীবী বহুপূর্বে ১নং বাবুরাইলে লজিং পড়াতো এবং বেপারী পাড়া বাবুরাইল কাদির দেওয়ানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। সেই সুবাদে উক্ত আইনজীবীকে আমরা বিশ্বাস করতে থাকি। এক পর্যায়ে সে আমাদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। সেই সুবাদে আইনজীবী মো. ওসমান খন্দকার এবং আমার পিতা বিভিন্ন জায়গা সম্পত্তি ক্রয় করে। যাহার কাগজ পত্রাদি কৌশলে আইনজীবী নিজের কাছে রেখে দেয়। উক্ত কাগজপত্র চাইলে সে আমার পিতার সাথে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকে। উক্ত আইনজীবী আমার পিতার নিকট হতে রাজধানীর জয়কালী মন্দির এর জায়গার জন্য দশ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। ফতুল্লা থানার নতুন কোর্ট সংলগ্ন বুড়ির দোকানের পিছনে আমার পিতার নিকট হতে টাকা নিয়া ৫ শতাংশ জায়গার উপরে পাঁচ তলা বিল্ডিং ও সুগন্ধা মোড়ে ৮ শতাংশ জায়গার উপর ৬ষ্ঠ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করেন। বন্দর মেইন রোডের সাথে ১০০ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন। উক্ত আইনজীবী নামে বেনামে আমাদের উপার্জিত টাকা দিয়া ভূইঘরে তার বোনের নামে ৮ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন। এছাড়া ১৯৯৭ সালে চাঁদপুর, পালাখালে আমার বড় ভাইয়ের উপস্থিতিতে পুকুর এবং ব্যাংকের মর্গেজের জায়গার জন্য ৯ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। ২০০২ সালে পঞ্চবটি ধর্মগঞ্জ বসু মিয়ার কাছ থেকে বাড়ী এবং কবরস্থানের পাশের জায়গার জন্য আমাদের নিকট হতে দশ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। ২০০৩ সালে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সংলগ্ন লাঠি হুজুরের ১০.৫০ শতাংশ জায়গার জন্য টাকা গ্রহণ করেন। আমার পিতার নিকট হতে টাকা নিয়ে স্টেডিয়াম সংলগ্ন ৩০ শতাংশ জায়গায় আমার পিতা ও আইনজীবী পুলিশ নিয়া গিয়া মীমাংসা করলে উক্ত সম্পত্তির কোন কাগজপত্র এবং হিসাব দিচ্ছে না। ১৯৯৮ সালে আমার পিতা ও আইনজীবী মামলা মোকদ্দমা সহ বিবাদ
নিস্পত্তি করে কাদির দেওয়ান কে সাথে নিয়ে সৈয়দপুর পেঁয়াজ ক্ষেতের ৩৬ শতাংশ সম্পত্তির কোন কাগজপত্র ও হিসাব দিচ্ছে না। ২০০১ সালে ডিক্রীরচর এলাকায় আমার পিতাকে নিয়ে বালু ভরাট করে ৭৭ শতাংশ জায়গা সে আত্নসাৎ করেছে। আইনজীবী আমাদের টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করে বর্তমানে বহু অগনিত সম্পত্তি এবং বহুতল ভবন সহ বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালে আমার পিতার মৃত্যুর পর তার নিকট সম্পত্তির হিসাব চাইলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের পরিচয় দিয়ে তিনি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাদের দাবিয়ে রাখেন। বর্তমানে উক্ত আইনজীবী আমাদেরকে হুমকি প্রদান করছে। জানুয়ারী হইতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে একাধিকবার স্থানীয় ভাবে মীমাংসার জন্য বসলেও সে কোন কর্ণপাত করছে না। সে আমাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়া ক্রয়কৃত সম্পত্তি আত্মসাৎ করা সহ আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করার আশংকা করছি।
মতামত দিন